পুষ্টিকর গিমা শাকের ভাজি রেসিপি
pustibd.com এর আরও একটি হেলদি রেসিপি সম্পর্কে জন্য আপনাদের সবাইকে ওয়েলকাম জানাচ্ছি। এই রেসেপি ব্লগ এ আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গিমা শাকের ভাজি রান্নার রেসিপি।
অনেকেই গিমা শাক রান্না করতে জানেন, কিন্তু যারা নতুন রাধুনী ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে গিমা শাকের ভাজি রান্না করতে চাচ্ছেন আজকের রেসিপি টি তাদের জন্য।
আরও পড়ুনঃ গিমা শাক খেলে কি হয়? গিমা শাক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মাঝে মাঝে বাজারে আটি করে বিক্রি হলেও গিমা শাক শহরের দিকে খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে গ্রামের দিকে সর্বত্রই এই শাক পাওয়া যায়। আপনাদের মুখের রুচি পরিবর্তন করতে এই ঔষধি গুন সম্পন্ন শাকের জুড়ি মেলা ভার।
Jump to Recipeপুষ্টিকর গিমা শাকের ভাজি রেসিপি
4
servings30
minutes15
minutesগীমা শাক বিভিন্ন প্রকার ঔষধি এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাক। গিমা শাকের ভাজি রান্নার বিভিন্ন কলা কৌশল এই রেসিপি ব্লগ এ তুলে ধরা হল।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
গিমা শাক-১ আটি
সরিষা/সয়াবিন তেল তেল-2 টেবিল চামচ
পেয়াজ কুচি-১কাপ
রসুন কুচি- 2 টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচের ফালি বা চেরা- ৫-৬ টা
লবন- স্বাদ মত
হলুদ গুরা-১/৩ চামচ
আলু কুচি-২ টা মিডিয়াম সাইজ
খাবার প্রস্তুতপ্রনালিঃ
- এক আটি গিমা শাক খুব ভাল ভাবে বেছে নিতে হবে। বিশেষত গিমা শাক অনেক টাই তিতা হয়ে থাকে। প্রথমে শাকের যে ফুলগুলো আছে যতটা সম্ভব সেগুলোকে অবশ্যই ফেলে দিবেন এবং শুধুমাত্র পাতা নিতে হবে। তবে আপনারা চাইলে সামনের দিকের যে নরম ডাল গুলো আছে সেগুলো নিতে পারেন। কারন গিমা শাক এমনিতেই তিতা ফুল আর মোটা কাণ্ড নিলে তা আরও তিতা লাগবে। সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে এ কাজটা করতে হবে।
- এর পরে শাক গুলু কে ভাল করে কয়েকবার পরিস্কার পানি বা জল দিয়ে ধুয়ায়ে একটা পাত্রে বা ঝাকাতে কিছু সময়ের জন্য পানি ঝরাতে দিতে হবে।
- চুলার তাপ মিডিয়াম টু লো হিটে রেখে। গিমা শাক গুলুকে রান্না করার জন্য চুলায় একটি প্যান বসিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি সরিষার তেল 2 টেবিল চামচ,তবে সয়াবিন তেল ও দিতে পারেন। পেয়াজ কুচি-১কাপ,রসুন কুচি- 2 টেবিল চামচ,কাঁচা মরিচের ফালি বা চেরা- ৫-৬ টা। এবারে পেঁয়াজ এবং রসুন গুলোকে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই। গিমা শাকে পেঁয়াজ একটু বেশি দিতে হয় যেহেতু স্বাদ একটু তিতা।
- রসুন পেঁয়াজগুলো ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিচ্ছি স্বাদমতো লবণ হলুদের গুঁড়া দিচ্ছি 1 থার্ড চা চামচ এখানে অন্য কোন মসলা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি আলু কুচি। এখানে দুইটা মিডিয়াম সাইজের আলু কুচি করে কেটে নিতে হবে। আলু ভাজি করার জন্য যেভাবে আলু কাটা হয় ঠিক সেভাবে কেটে নিলেই চলবে। এবারে আলু গুলোকে হালকা করে ভাজা রসুন পেঁয়াজগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে, কষিয়ে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই জাস্ট মিশিয়ে নিলেই চলবে।
- ভালভাবে মিশানো হয়ে গেলে এইবার পানি ঝরতে দেওয়া শাক গুলি কে রান্নার জন্য কড়াইয়ের মধ্যে দিতে হবে এবং সামান্য উল্টিয়ে পাল্টে ঢাকনা দিতে হবে। প্রকৃতপক্ষে পাক রান্নায় কোন গুরুত্ব ও প্রয়োজন হয় না এখানে যেহেতু আলু ব্যবহার করা হয়েছে তাই পূর্বেই সামান্য পরিমাণ হলুদ ব্যবহার করা হয়েছে।
- ঢাকনা দিয়ে ঢেকে শাকগুলো নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিতে হবে আর মাঝে মাঝে ঢাকনাটা উঠিয়ে নেড়ে-চেড়ে দিতে হবে চার থেকে পাঁচ মিনিট পরে দেখা যাবে শাকের ভেতর থেকে পানি বের হওয়া শুরু হয়েছে। আলু এবং শাকের ভেতর থেকে বের হওয়া পানি দিয়েইগিমা শাক রান্না সম্পন্ন করতে হবে বাড়তি পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- এই শাক রান্না করতে খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না। কয়েকবার উল্টিয়ে পাল্টিয়ে আলু সিদ্ধ হয়েছে কিনা খেয়াল করতে হবে আলু সিদ্ধ হয়ে আসলেই এই শাক এর ভাজি খাবারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। যারা এই শাকের পুষ্টি ও ঔষধি গুণের কথা ভেবে, সবটুকু পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রেখে খাবেন। তারা এই পর্যায়ে প্যান থেকে নামিয়ে গরম ভাত এর সাথে পরিবেশন করতে পারেন।
- আর তিতা ভাব আরো কিছুটা কমাতে চাইলে, আরো একটু ভাজা ভাজা করে রান্না করে নামিয়ে নিতে পারেন। একটু বেশি ভাজা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।আরো কিছুক্ষণ পর শাক গুলোর কালারটা চেঞ্জ হয়ে আসলে কড়াই থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে কয়েকটা আস্ত কাঁচামরিচ এর সাথে পরিবেশন করুন।
Recipe Video
নোট
- photo & video credit goes to: https://www.youtube.com/@IrenIslamCooking
আরও পড়ুনঃ জানেন কি? কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
গিমা শাকের ভাজি নীয়ে শেষ কিছু কথাঃ
গিমা শাকের ভাজি রান্নার রেসিপিটা কেমন হয়েছে তা নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সু চিন্তিত মতামত ও পরামর্শ মূলক সমালোচনা আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।