কাঁচা আম কেন খাবো? কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা-ই বা কি?
কাঁচা আম এর সাথে শিশু বেলার স্মৃতি নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষত যারা গ্রামে বাস করে বা গ্রামে শিশুকাল অতিবাহিত করেছেন কাঁচা আম বা আম গাছের সাথে তাদের অনেক অম্ল মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। গ্রীষ্মকাল আসলেই আমের কথা সকলের মনে পড়ে। আম কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কতটুই বা জানি?
কাঁচা আম in english এ Raw Mango বলে।আসুন এই আর্টিকেলে আমরা কাঁচা আমের বিভিন্ন উপকারী ও অপকারী দিক নিয়ে জানার চেষ্টা করি।
কাঁচা আমের উপকারিতাঃ
কাঁচা আম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেঃ
কাঁচা আমে কম ক্যালরি এবং অধিক ফাইবার থাকার কারণে এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব পুরুষ ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাঁচা আম গ্রহণ করেছে তাদের বডি মাছ ইনডেক্স বা বি;এম;আই যারা কাঁচা আম গ্রহণ করেনি তাদের তুলনায় কম। এতে বোঝা যায় কাঁচা আম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেঃ
কাঁচা আমে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বিশেষ করে পলিফেনালস এবং ম্যাগনিফেরিন। যা শরীরের সেল ডেমেজ প্রতিরোধ করে। ফলে শরীরে ফ্রি মেডিকেল তৈরি হয় না। আর ফ্রী রেডিক্যাল হল ক্যান্সার সেল তৈরীর অন্যতম কারিগর। বিশেষত ম্যাগনেফিরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যদিও এর উপরে আরো গবেষণা কার্যকর রয়েছে।
সামারিঃ কম ক্যালরি থাকায় কাঁচা আম ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।এছাড়াও পলিফেনালস এবং ম্যাগনিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কাঁচা আম ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কাঁচা আম লিভার ফাংশন এর জন্য খুবই কার্যকরঃ
কাঁচা আম শরীরের পিত্ত তৈরি উদ্দীপ্তকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন লিভারের রোগ কে প্রতিরোধ করে। পিত্তরস হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক করণ ও শরীরে গ্রহণ করা ফ্যাট কে ভাঙতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পিত্তরস শরীরে বিভিন্ন ওষুধের ক্ষতিকর দিক ও বিষাক্ত দ্রব্য শরীর থেকে বের করার কাজ করে। বিশেষত কাঁচা আমে থাকা ম্যাগনিফিরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে সুরক্ষা দান করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ
কাঁচা আমে থাকা ম্যাগনেফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। এছাড়াও কাঁচা আমে থাকা ভালো মাত্রার ফাইবার পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন ভিটামিন সুস্থ হার্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামারিঃ পিত্ত তৈরী উদীপ্ত করণের মাধ্যমে শরীরের গ্রহন করা ফ্যাট ভাঙ্গা ও শরীরকে ডিটক্স করনের মাধ্যমে কাঁচা আম লিভার কে সুস্থ রাখে। সেই সাথে ম্যাগনিফেরিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ট্রাইগ্লিসারাইড ও ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য রক্ষাকরণের মাধ্যমে হার্টকে সুস্থ রাখে।
কাঁচা আম ত্বক ও চুলের জন্য ভালোঃ
কাঁচা আমে থাকা বিভিন্ন ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই প্রোটিন, আয়র্ জিংক ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি সহ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন তৈরির মাধ্যমে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। কাঁচা আম চুল গজাতে ও চুলে শিবাম তৈরি করতে সাহায্য করে। আমরা জানি সিবাম মাথার মাস বা স্কাল্প কে সিক্ত রাখার মাধ্যমে চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
আরও পড়ুনঃ আপনি জানেন কি? শাক আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা !
বিভিন্ন রক্ত রোগ প্রতিরোধ করেঃ
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। যা বিভিন্ন রক্ত রোগ যেমন হিমোফিলিয়া অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা এবং অপ্রয়োজনীয় রক্ত জমাট বেধে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
কাঁচা আম ব্লাড ভেসেলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়িয়ে দেয় এবং নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তবে এই বিষয়ে খুব সীমিত আকারে মেডিকেল গবেষণা থাকায় এই ধরনের রক্ত রোগের রোগীদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শের মাধ্যমে কাঁচা আম গ্রহণ করার ভালো।
সামারিঃ কাঁচা আমে থাকা বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি সাধন করে। এছাড়াও বিভিন্ন রক্তরোগ প্রতিরোধে এই পুষ্টিকর ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চোখের জন্য ভালোঃ
উচ্চমাত্রায় ক্যারাটেনয়েড নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কাঁচা আম চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো ভূমিকা রাখে। কাঁচা আমের প্রতি ১০০ গ্রামে ১০৮২ আইঃইউ ভিটামিন এ থাকে। যা চোখে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
আরও পড়ুনঃ আপনি কি জানেন? পটলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
কাঁচা আম মাড়ী ও দাঁতের জন্য ভালোঃ
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা মুখের বিভিন্ন রোগ ও স্কার্ভি প্রতিরোধ করে, এবং সেই সাথে দাঁত ও ভালো থাকে।
পেটের বিভিন্ন সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা রাখেঃ
কাঁচা আমে থাকা প্রচুর ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয় এবং পিত্তরস নিঃসরণ উদ্দীপ্তকরণের মাধ্যমে অধিক পিত্ত সিক্রেশন হয় যার ফলে হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।প্রচুর ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়
সামারিঃ উচ্চ মাত্রার এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কাঁচা আম চোখের জন্য ভালো- সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এছাড়াও এতে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এর কারনে দাঁত ও মাড়ীকে ও সুস্থ রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
বিশেষত গ্রীষ্মকালে হওয়া বিভিন্ন ফ্লু এর সংক্রমণের কারণে শরীরে জ্বর কাশির মত রোগ বাসা বাঁধে। তাই গ্রীষ্মকালে হওয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে যার ফলে ফ্লু জনিত সাধারণ রোগ শরীরে আক্রমণ করতে পারেনা।
পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করেঃ
গ্রীষ্মকালে মারাত্মক তাপদাহ এর কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেই সময় শরীরের পানি শূন্যতা কমানোর ক্ষেত্রে কাঁচা আমের জুস এর উপকারিতা অনেক।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতাঃ
গর্ভাবস্থায় অবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিশেষত এতে থাকা উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ ও বিভিন্ন অর্গানিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট গর্ভবতী মায়ের ও ভ্রুনের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই নির্ভয়ে গর্ভ অবস্থায় কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে।
সামারিঃ গ্রীষ্মকালে হওয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও তাপদাহের কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দূরীকরণে কাঁচা আম বা কাঁচা আমের জুস এর উপকারিতা অসীম। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে গর্ভের সন্তান ও মায়ের জন্য দরকারি বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা অনেক অংশে পূরণ করা সম্ভব।
কাঁচা আমের অপকারিতাঃ
কাঁচা আমের অনেক উপকারী দিক থাকলেও এর কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কাঁচা আমের অপকারিতা ও তুলে ধরা হলোঃ
গলায় অস্বস্তি বোধ হতে পারেঃ
কাঁচা আমের অনেক জৈব এসিড থাকে। যেমন – টারটারিকএসিড, ম্যালিক এসিড, সামান্য সাইট্রিক এসিড, থাকে যা গলায় অস্বস্তি ক্রিয়েট করতে পারে। এছাড়াও একবারে অধিক পরিমাণে খেলে বদহজম হতে পারে।
এলার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারেঃ
যাদের কাঁচা আমের বিভিন্ন উপাদানে এলার্জি থাকে। তাদের কাঁচা আম খাওয়ার পরে শরীর চুলকাতে পারে। শরীর ফুলে যেতে পারে এবং নিঃশ্বাসে কষ্ট হতে পারে।
ডেন্টাল ইরোসন হতে পারেঃ
বিভিন্ন জৈব এসিড থাকার কারণে অধিক কাঁচা আম খাওয়ার পরেে।অনেকের ডেন্টাল ইরশান হতে পারে। বিশেষ করে দাঁতের এনামেল উঠিয়ে দিয়ে সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে দেয় দিতে পারে,যার দরুন দাঁতের ক্যাভিটি হতে পারে।
পেটের পিড়া দেখা দিতে পারেঃ
অধিক পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা পেটে গ্যাস জমা ও পেট ফাঁপা হতে পারে।
কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারেঃ
কাঁচা আমে অনেক সময় আঠা থাকে। কাঁচা আম কাটতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আঠা শরীরের বিভিন্ন অংশের লেগে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। যেটাকে কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস বলে। তাই কাঁচা আম গাছ থেকে পাড়া ও এর খোসা ছাড়ানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কীটনাশক এর কারণে ক্ষতি হতে পারেঃ
অনেক ফলের নেয় আমে ও অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক (জৈব ও অজৈব) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই গাছ থেকে আম পাড়ার পূর্বে জেনে নিতে হবে এতে কতদিন পূর্বে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছিল? এবং আম কাটার পূর্বে তা ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে যাতে কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।
তবে মোটের উপরে কাঁচা আমের ক্ষতির থেকে উপকারই বেশি।তাই সতর্কতার সাথে কাঁচা আম খেলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
সামারিঃ গলায় অস্বস্তি বোধ, এলার্জিক রিএকশন, ডেন্টাল ইরোসান,কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এর মত অতি-সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া কাঁচা আমের পুষ্টিকর দিকটাই বেশি।
কাঁচা আমের পুষ্টিগুণঃ
কাঁচা আমের উপকারিতা অনেক। নিচে কাঁচা আমের উপকারিতার পাশাপাশি পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলঃ
পুষ্টি উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে |
এনার্জি | ৬০ কিঃ ক্যালঃ |
শর্করা | ১৪.৯৮ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৮২ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.৩৮ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৬ গ্রাম |
ভিটামিন- সি | ৩৬.৪ মিঃ গ্রাম |
ভিটামিন- ই | ১.১২ মিঃ গ্রাম |
ভিটামিন- এ | ১০৮২ আইঃউ |
ভিটামিন- বি৩ | ৬৬৯ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন- বি৫ | ১৬০ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন- বি৬ | ১১৯ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন- বি১ | ৩৮ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন- বি২ | ২৮ মাইক্রো গ্রাম |
ভিটামিন-কে | ৪.২ মাইক্রো গ্রাম |
ফলেট | ৪৩ মাইক্রো গ্রাম |
পটাশিয়াম | ১৬৮ মিঃ গ্রাম |
ফসফরাস | ১৪ মিঃ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১১ মিঃ গ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ১০ মিঃ গ্রাম |
সোডিয়াম | ১ মিঃ গ্রাম |
কপার | ১১০ মাইক্রো গ্রাম |
আয়রন | ১৬০ মাইক্রো গ্রাম |
জিংক | ৯০ মাইক্রো গ্রাম |
বেটা-ক্যারোটিন | ৪৪৫ মাইক্রো গ্রাম |
আলফা-ক্যারোটিন | ১৭ মাইক্রো গ্রাম |
শেষ কথা:
কাঁচা আমের উপকারিতা ও পুষ্টি অনেক। মৌসুমী এই ফল,গ্রীষ্মকালে পাওয়ায় ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে পরিত্রাণে অনন্য ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ছোট বড় নির্বিশেষে সকলের কাঁচা আম খাওয়া উচিত। দামে সস্তা ও পুষ্টিতে ভরা এই দেশীয় ফলটি গ্রীষ্মকালে আমাদের প্রতিটি বাঙালির টেবিলে থাকুক, এই প্রত্যাশা রেখে শেষ করছি।
কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কিত আমাদের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো কমেন্ট সেকশনে জানান। এছাড়াও আর কি কি বিষয়ের আর্টিকেল চান তাও জানাতে পারেন। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।
FAQ
কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
এই তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষা এবং সচেতনতার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়। এটি কোনও স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার দ্বারা চিকিৎসার বিকল্প নয় এবং কোনও মেডিকেল অবস্থার নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। তথ্যের যথাযথতা নির্ধারণের জন্য এবং কোন ঔষধ গ্রহণের আগে পাঠকদের একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। pustibd.com তথ্যের সঠিকতা, পর্যাপ্ততা, সম্পূর্ণতা, বৈধতা, নির্ভরযোগ্যতা বা উপযোগিতা সম্পর্কিত কোনও গ্যারান্টি বা ওয়্যারেন্টি (স্পষ্ট বা উহ্য) সরবরাহ করে না; এবং এর উদ্ভূত কোনও দায়বদ্ধতা অস্বীকার করে।