গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
|

গাজরের ১০১ঃগাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজর মচমচে মজাদার পুষ্টি সমৃদ্ধ মূল জাতীয় সবজি। Gajor English: Carrot বা বৈজ্ঞানিক নাম: Daucus Carota.  গাজরে বেটা কেরাটিন ছাড়াও ফাইবার, ভিটামিন K1,পটাশিয়াম ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।এগুলোর প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব আছে। 

কমলা রঙের গাজর ছাড়াও অনেক রঙের গাজর হয়ে থাকে যেমন হলুদ, সাদা,লাল, পার্পেল বা বেগুনি। বেটা ক্যারোটিনের কারণে কমলা রঙের গাজরের উপরের অংশ উজ্জ্বল রঙের হয়।

আসুন এই আর্টিকেলে আমরা গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও, গাজর সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানবো।

গাজরের পুষ্টি উপাদানঃ

গাজরে ৮৬ থেকে ৯৫%  জলীয় অংশ থাকে এবং ১০% কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে গাজরে অতি সামান্য  ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে।

 ২ টা ছোট সাইজের কাচা গাজর বা ১০০ গ্রামে থাকেঃ

  • ক্যালোরিঃ  ৪১ kcal
  • পানিঃ৮৮%
  •  প্রোটিনঃ০. ৯  গ্রাম
  •  কার্বসঃ ৯.৬  গ্রাম
  •  সুগারঃ ৪.৭ গ্রাম
  •  ফাইভারঃ ২.৮ গ্রাম
  • ফ্যাটঃ  ০.২ গ্রাম

 লবণ ছাড়া ১০০ গ্রাম রান্না করা গাজরে থাকেঃ

  • ক্যালোরিঃ ৩৫ কিলো ক্যালরি
  • প্রোটিনঃ 0. ৮ গ্রাম
  • কার্বসঃ ৮.২ গ্রাম
  • সুগারঃ ৩.৫ গ্রাম
  • ফ্যাটঃ ০.২ গ্রাম
  • ক্যালসিয়ামঃ ৩০ মিলিঃগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ ১০   মিলিঃগ্রাম
  • ফসফরাসঃ ৩০  মিলিঃগ্রাম
  • পটাশিয়ামঃ ২৩৫  মিলিঃগ্রাম
  • সোডিয়ামঃ ৫৮ মিলিঃগ্রাম

যা আপনার দৈনিক চাহিদার:

ভিটামিন  A এর – ৭৩%,ভিটামিন K এর -৯%,পটাশিয়াম ও ফাইবারের – ৮%,ভিটামিন সি এর- ৫%,ক্যালসিয়াম ও  আয়রন এর- ২% পূরণ করে।

আরও পড়ুনঃ আপনি জানেন কি? শাক আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা !

 কার্বসঃ

 গাজরের মূল উপাদানই হলো কার্বস আর জলীয় অংশ।  কার্বস  এর মধ্যে থাকে স্টার্চ ,সুগার ( সুক্রোজ এবং   গ্লোকোজ ) ।কিন্তু  গ্লাইসেমিক  ইনডেক্স ( G.I) এ  গাজরের গ্লোকোজ এর  রেংকিং অনেক কম।  গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্বারা বোঝানো হয় কোন খাবারের কার্বস কত দ্রুত রক্তের গ্লোকোজ  এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। কাঁচা গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রেঞ্জ  ১৬ থেকে ৬০, রান্না করা গাজরের  একটু বেশি। এই ধরনের কম ইনডেক্সধারী  খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপযোগী

 ফাইবারঃ

 গাজর ফাইবারের খুব ভালো উৎস।একটি মাঝারি সাইজের গাজর  (৬১ গ্রাম) এ  প্রায় দুই গ্রাম ফাইবার থাকে। গাজরে পেকটিন নামক দ্রবীভূত ফাইবার থাকে।  যা গ্লোকোজ ও শর্করার পরিপাক ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

 এছাড়াও গাজরের ফাইবার আমাদের পরিপাকতন্ত্রের গাটে  অবস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাবার বা প্রি বায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা পক্ষান্তরে আমাদের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।

এছাড়াও গাজরে থাকা অদ্রবিহিত ফাইবার যেমন সেলুলোজ,  হেমে সেলুলোজ, লিগনিন  কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীভূত করে মল পরিষ্কার রাখে। 

সামারিঃ  গাজরের দশ ভাগ কার্ব,স্টার্চ,ফাইবার এবং সাধারন সুগার, অতি অল্প মাত্রায়  ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে।

ভিটামিন ও মিনারেলসঃ

গাজর অনেক ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলস এর খুব ভালো উৎস। বিশেষ করে ভিটামিন এ, বায়োটিন, ভিটামিন K1,ভিটামিন বি ৬ থাকে।

           ভিটামিন এ:

 গাজরে থাকা প্রচুর বেটা-ক্যারোটিন শরীর ভেঙে ভিটামিন এ তে রূপান্তর করে। যা দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

          ভিটামিন K1 :

ভিটামিন K1 রক্ত জমাট বাধা ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

          ভিটামিন B6:

 ভিটামিন B6 খাবার কে শক্তি তে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। 

           বায়োটিনঃ

 যাকে ভিটামিন H ও বলা হয় ।এটি ফ্যাট ও প্রোটিন মেটাবলিজম এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে ত্বক, চুল, ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বায়োটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

         পটাশিয়ামঃ

 রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্তের ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ।

সামারিঃ  গাজর ভিটামিন এ ও বিভিন্ন ভিটামিন  বি এর ভালো উৎস। এছাড়াও এতে ভিটামিন  K1 ও পটাশিয়াম থাকে।

অন্যান্য ভেষজ উপাদানঃ

গাজরে ক্যারাটনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই শক্তিশালী এনটিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

গাজরের প্রধান ভেষজ উপাদান গুলো হলঃ

 বেটা ক্যারোটিনঃ

 কমলা রঙের গাজরে বেশি থাকে। এছাড়াও রান্না করা গাজরে বেটাকারোটিন আরো বেশি শুষিত হয়।

 লুটেইনঃ

 হলুদ ও কমলা রঙের গাজরে বেশি থাকে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 আলফা ক্যারোটিনঃ 

এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ভিটামিন এ তে পরিবর্তিত হয়।

 লাইকোপেনঃ

 লাল ও বেগুনি রঙের গাজরে পাওয়া যায়। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 অ্যান্থোসায়ানিনঃ

এটি খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শুধুমাত্র কালো রঙের গাজরে পাওয়া যায়।

সামারিঃগাজর অনেক ভেষজের ভালো উৎস। বিশেষত ক্যারাটেনয়েড, বিটা ক্যারোটিন,লুটেইন,লাইকোপেন।

গাজরের উপকারিতাঃ

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ

 গাজরে থাকা ক্যারাটেনয়েড বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে যেমনঃ প্রোস্টেট,  কোলন, পাকস্থলী ও মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

রক্তের কোলেস্টেরল কমায়ঃ

 রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গাজর রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল স্বাভাবিক রাখে।

 ওজন কমায়ঃ

 গাজর কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায় ক্ষুধা মেটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ক্যালরি কম শরীরে প্রবেশ  করার কারণে দৈহিক ওজন বাড়ে না। তাই যাদের ওজন কমানো দরকার তাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী খাবার হিসেবে গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ

 ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। গাজরে থাকা ক্যারাটেনয়েড বা ভিটামিন এ রাতকানা ছাড়াও বয়সে কারণে হওয়া চোখের ম্যাকিউলার ডি জেনারেশন প্রতিরোধ করে।

ত্বক ও দাঁতের জন্য উপকারীঃ

কাঁচা গাজর চিবনোর সময় এটা দাঁতের প্রাকৃতিক ব্রাশ হিসেবে কাজ করে এবং প্লাগ দূর করে। গাজোরে থাকা ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি এর কারণে ত্বক ভালো থাকে।

 হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ

 গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সাথে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।

 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

 গাজরে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ

  অদ্রবিভূত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কোলন পরিষ্কার রাখে।  ফলে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা নিয়মিত কাঁচা গাজর খেতে পারেন।

 ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ

 কম GI বা গ্লাইসেমিক  ইনডেক্স খাবার হওয়ায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও প্রতিকারে গাজর বিশেষ ভূমিকা রাখে।

হাড় মজবুত করেঃ

গাজরে থাকা ভিটামিন ‘কে’  হাড় মজবুত করতে  ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর সাথে একত্রে কাজ করে।

সেক্সে  গাজরের উপকারিতাঃ

 গাজোরে থাকা ক্যারেটনয়েড এর কারণে পুরুষের সুস্থ শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে যারা পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত গাজর খান। তাদের  সিমেন বা বীর্য এনালাইসিস করে দেখা যায় তাদের সুস্থ স্পারম বা শুক্রানুর পরিমাণ গাজর না খাওয়া পুরুষের থেকে বেশি।

সামারিঃগাজর খেলে  ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া ওর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় সাথে সাথে ওজন কমাতে বিরাট ভূমিকা রাখে।

 প্রতিদিন কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা(Gajor Benefits):

 অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কাঁচা গাজর খেলে কি হয়? প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিন কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আমরা গাজরের পুষ্টি উপাদান অংশ দেখেছি কাঁচা বা Raw গাজরে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে। যা রান্না করা গাজরের থেকে অনেক বেশি। তবে যাদের ক্ষেত্রে কাচা গাজরের ফ্লেভার ভালো লাগেনা তারা রান্না করা গাজর খেতে পারন। গাজর প্রতিদিন খেলে বিভিন্ন সেক্স হরমোন এর নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি এতে থাকা প্রচুর ফাইবারের কারণে হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়। কাঁচা গাজর গাটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা প্রবায়োটিক এর খাবার বা  প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতাঃ

 খালি পেটে গাজর বা গাজরের জুস খেলে হজম ক্রিয়া ভালো হওয়ার সাথে সাথে শরীরের দূষিত পদার্থ বা অপদ্রব্য ডি টক্সিফিকেশন হয়। যার ফলে শরীর  নীরোগ হয়ে ওঠে। তাই শরীর ডিটক্সিফিকেশনের জন্য কাঁচা গাজর বা গাজরের জুস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

গাজরের অপকারিতাঃ

গাজর সাধারণত নিরাপদ খাবার। কিন্তু কিছু ব্যক্তির জন্য গাজর ক্ষতির কারন হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কাঁচা গাজর খাওয়ার অপকারিতা পরিলক্ষিত হয়। 

  • অধিক পরিমানে খেলে শরীর হলুদ বা কমলা রং ধারণ করে। ( যদিও তা , খুব ক্ষতিকর নয়)
  • যাদের পোলেন এলার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে গাজরে এলার্জি হতে পারে ।
  • যাদের  পোলেন বা গাজরে এলার্জি থাকে তাদের মুখ, কান, ঠোঁট, চুলকায় এবং খাবার গলাধ করনে  অসুবিধা হতে পারে। (তবে রান্না করা গাজরে এটা কম হয়)
  • হাইপো থাইরডিজম এর রোগীদের ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে  শোষন করতে অসুবিধা হয়। তাদের ক্ষেত্রে গাজর ক্ষতির কারন হতে পারে।
  • দূষিত মাটি ও পানির মাধ্যমে গাজর ফলানো হলে তাতে ভারি অপদ্রব্য বা হেভি মেটাল থাকতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • গাজরে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাবে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
  • দূষিত পরিবেশে উৎপাদিত গাজরে ক্ষতিকর  সালমলেনা,সিজেলা, হেপাটাইটিস এ, নরোঁ ভাইরাস এর জীবাণু থাকতে পারে। তাই ভালোভাবে ধুয়ে গাজর খাওয়া উচিত।

সামারিঃযাদের POLLEN বা  ফুলের পরাগে এলার্জি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে গাজর পরিহার করাই ভালো। তাছাড়া উৎপাদন  ক্ষেতের অবস্থা বিবেচনা  করে ও গাজর খাওয়া উচিত। গাজর উৎপাদনে  রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার হয়েছে কিনা সেদিকটা খেয়াল রাখা উচিত।

কাঁচা গাজর খাওয়ার নিয়মঃ

 কাঁচা গাজর  ক্ষেত থেকে বা বাজার থেকে আনার পরে পরিষ্কার পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ভালোমতো পরিষ্কার করতে হয়। যাতে এতে থাকা ইনঅর্গানিক বা ক্ষতিকারক রোগ জীবাণু না থাকে। তারপরে ছুরি বা সবজি কাটার  পিলার  এর মাধ্যমে গাজরের উপরের খোসা তুলে স্লাইস বা টুকরা করে মচমচে গাজর খাওয়া যায়। যারা কাঁচা গাজর খেতে পছন্দ করেন তারা বিভিন্ন সবজির সাথে সিদ্ধ করেও খেতে পারেন। এছাড়াও কাঁচা গাজর ব্লেন্ড করে জুস আকারেও খাওয়া যায়। 

গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজর খাওয়ার সময়ঃ

গাজর খাওয়া নির্দিষ্ট কোন সময় নেই যে কোন সময়ই গাজর খাওয়া যেতে পারে। খাবারের আগে বা পরে যে কোন সময়ই গাজর খাওয়া যায়। অনেক পুষ্টিবিদের মতে সকালে খালি পেটে বা ব্যায়াম করার আগে বা পরে কাঁচা গাজরের জুস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

শেষ কথাঃ 

গাজর  মিষ্টি ও সুস্বাদু  স্নাক্স জাতীয় সবজি। যা খুবই পুষ্টিকর ও কম ক্যালোরিযুক্ত। পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিককরন ছাড়াও ওজন কমাতে হার্ট ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়নে গাজর  অনন্য।

 গাজর সম্পর্কিত আমাদের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো  কমেন্ট সেকশনে জানান। এছাড়াও আর কি কি বিষয় জানতে চান তাও জানাতে পারেন। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।

FAQS

গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

গাজর খালি পেটে খেলে গাঁট এর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কারন গাজর এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। খালিপেটে গাজর খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ বা অপদ্রব্য ডি টক্সিফিকেশন হয়।

না। গাজর খেলে পায়খানা শক্ত হয় না বরং নরম হয়।

গাজরে দ্রবীভূত ও অদ্রবিভুত ফাইবার থাকে। যা প্রকারান্তে অধিক পরিমানে যাদের ওজন থাকে তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হ্যাঁ পারবে।তবে কাঁচা গাজরে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে।তাই কাঁচা গাজরের থেকে রান্না করা গাজর কিডনি রোগী রুগীদের জন্য নিরাপদ। তবে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে তার ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে গাজর খাওয়া উচিত।

গাজরে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও বেটা-ক্যারটিন থাকে যা ত্বক উজ্জ্বল করে ও ত্বকে বয়স এর ছাপ পরতে বাধা দেয়।

Similar Posts

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *